করোনার থেকেও আরো ভয়াবহ ভাইরাসের সতর্কবার্তা দিলেন চীনা গবেষক

উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি’র উপপরিচালক শি ঝেংলি।

 

আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে হিমশৈলের অগ্রভাগ বলে সতর্ক করেছেন চীনের উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি’র উপপরিচালক শি ঝেংলি। সোমবার চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিজিটিএনকে দেয়া সাক্ষাতকারে এমনটি বলেন তিনি।amarbangla.tv

সাক্ষাতকারে শি ঝেংলি বলেন, আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধ না করতে পারলে ভবিষ্যতে এর চেয়েও আরো সংক্রামক ভাইরাস বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা যদি মানুষকে পরবর্তী সংক্রামক-রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা করতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই আগে থেকে জানতে হবে যে কোন বন্যপ্রাণী থেকে প্রকৃতিতে এই ভাইরাস ছড়ায়।

আমরা যদি এটি নিয়ে গবেষণা না করি তাহলে আরেকটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে।
এছাড়াও সাক্ষাতকারে শি ঝেংলি উহানের ল্যাব থেকে করোনা ছড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন। তিনি দাবি করেন, উহানের ল্যাবে যে ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছিল সেটির সঙ্গে করোনা ভাইরাসের মিল নেই।amarbangla.tv

উহানের গবেষণাগারে দীর্ঘদিন বাদুড়ের ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন শি ঝেংলি। তার নেতৃত্বে বাদুড়ের শরীর থেকে সার্সের মতো কয়েক ডজন রোগ শনাক্ত করা হয়েছে। এ জন্য তাকে চীনের ‘ব্যাট ওম্যান’ বা ‘বাদুড় নারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

বাদুড়ের জীবন্ত ৩টি করোনা ভাইরাস ছিল উহানের সেই ল্যাবে!

প্রতীকী ছবি।

গত বছর ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে উৎপত্তি হয় প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাসের। করোনার উৎপত্তির পর অভিযোগ উঠে যে উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি থেকে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। তবে নতুন করোনা ভাইরাস সম্পর্কে আগে কোনও ধারণাই ছিল না বলে জানিয়েছেন উহান ভাইরোলজি ইন্সটিটিউটের পরিচালক ওয়াং ইয়ানয়ি। amarbangla.tv

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিজিটিএনকে দেয়া সাক্ষাতকারে ওয়াং ইয়ানয়ি জানায়, উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজিতে বাদুড়ের জীবন্ত তিনটি করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছিল। তবে ওগুলোর সঙ্গে নতুন করোনা ভাইরাসের মিল নেই। উহানের ভাইরাস ল্যাব থেকে করোনা ছড়িয়েছে এমন অভিযোগকে খাঁটি বানোয়াট গল্প বলে আখ্যায়িত করেন ওয়াং ইয়ানয়ি।

ভাইরাস নিয়ে অন্যতম শীর্ষ গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইয়ানয়ি সাক্ষাতকারে বলেন, আমরা বাদুড়ের তিনটি জীবন্ত করোনা ভাইরাস নিয়ে কাজ করছিলাম। আমরা সার্স ভাইরাসের উৎস খোঁজার জন্যই গবেষণা করছিলাম। কিন্তু ওই সব ভাইরাসের সঙ্গে নতুন করোনা ভাইরাসেরর মিল প্রায় ৮০ শতাংশ। আর আমরা জানি নতুন করোনা ভাইরাসের সঙ্গে সার্সেরও ৮০ শতাংশ মিল রয়েছে। তবে ৮০ শতাংশ মিল মানে এখানে অবশ্যই পার্থক্য আছে।

ওয়ার্ল্ডওমিটারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ লাখ ৮ হাজার ১৮৭ জন। মারা গেছেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪১ জন। শেয়ার করুন।