প্রবর্তক এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন এইচ এম রাশেদ খানসহ নেতৃবৃন্দ।
আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সরকারি সাধারণ ছুটির কারণে দেশের প্রতিটি সেক্টরের মানুষ আজ দিশেহারা। তাদের খাদ্য ঘাটতি, আর্থিক সংকট সবকিছুর
সমিকরণ উল্টো হয়ে যাচ্ছে। তাই বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে করোনা মহামারীর প্রথম থেকেই চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাদের উদ্যোগে গরীব অসহায় মানুষের পাশে অবস্থান নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
তিনি আজ ১৫ মে শুক্রবার বিকালে নগরীর প্রবর্তক মোড়স্থ মিমি সুপার মার্কেটের সামনে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ালেও অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা গরীব মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত চাল ডালসহ ত্রাণ সামগ্রী আত্মসাত করছে। আওয়ামীলীগের কাছ থেকে জাতি ভাল কিছু আশা করে না। তাই তিনি সমাজের বিত্তশালী ধনীব্যক্তিদেরকে অসহায় মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এসময় চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, ত্রাণ তৎপরতা নিয়ে আওয়ামী লীগ মিথ্যাচার করছে। বিভিন্ন ওয়ার্ড়ের সরকারী ত্রাণের তালিকায় শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম তালিকাভুক্ত করছে। ত্রাণের চাল ডাল আওয়ামীলীগ নেতাদের ঘরে পাওয়া গেলেও অসহায় মানুষ মানুষ পাচ্ছে না। বিএনপি ক্ষমতায় না থাকলেও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে করোনাকালীন এ দূর্যোগের শুরু থেকে জনগণকে সচেতন করা, খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। যতদিন এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীতেও স্বেচ্ছাসেবকদলের ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, পাভেল হাসান চৌধুরী সহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড় নেতৃবৃন্দ।