চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর
আমার বাংলা টিভি ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ একটি বৈশ্বিক মহামারি। এ মহামারীতে মানুষ এখন দিশেহারা, কর্মহীন হয়ে আর্থিক কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তার উপর করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে মানুষকে বিপাকে ফেলে দিয়েছে সরকার। করোনার কারণে মানুষ কাজ হারিয়ে রোজগারহীন হয়ে পড়েছে। খাদ্যসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাধি জোগাড় করাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। সেখানে নতুন করে পরীক্ষার ফি নির্ধারণ মরার ওপর খাঁড়ার ঘা এর শামিল। amarbangla.tv
স্বাস্থ্য সেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। সে অধিকার টুকুই ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের প্রতি তাদের কোন ধরণের দায়বদ্ধতা না থাকার কারণে অনৈতিক এ সিদ্ধান্ত নিতে কোন ধরণের ভাবেনি। এতে করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত গরিব সাধারণ মানুষের পক্ষে নমুনা পরীক্ষা করানো একে বারেই অসম্ভব নয়, যার ফলে নমুনা পরীক্ষা না করেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবে এবং পুরো সমাজ ব্যবস্থার ভিতরে করোনার বিস্তার বেড়ে যাবে। মৃত্যুর মিছিল আরো দীর্ঘ হবে।
সরকার এ মৃত্যুকে স্বাভাবিক হিসাবে বিশ্বে প্রচার করে বাহবা কুড়ানোর জন্য এ অপকৈৗশল করে ফি নির্ধারণ করেছে। সরকার জনগণের সেবক থেকে রক্তচোষা জোকে পরিণত হয়ে দেশের মানুষের রক্তচুষে খাচ্ছে। বছরের পর বছর উন্নয়নের কথা বলে জনগণকে ধোকা দিয়েছে। লুটপাটের মাধ্যমে নিজেদের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিল।স্বাস্থ্যখাত ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের ক্রান্তিকালে সাধারণ জনগণ সরকারের কাছ খেকে নগরিক সুবিধা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। অবিলম্বে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণের অবৈধ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার পূর্বক জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান। amarbangla.tv
আজ বৃহস্পতিবার ২ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে দিন দিন করোনা সংক্রমিত রোগী বেড়ে চলছে। সারাদেশের মধ্যে চট্টগ্রাম এখন করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে শীর্ষ অবস্থানে আছে। সরকার চট্টগ্রামের ১০টি ওয়ার্ডে রেডজোন ঘোষণা করলেও একটি ওয়ার্ড ছাড়া বাকি নয়টি ওয়ার্ডে এখনো কার্যকর লকডাউনের কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এসব ওয়ার্ডের মানুষ যেমন ঝূঁকিতে রয়েছে তেমনি আশেপাশের এলাকাগুলোকে ঝূঁকির মধ্যে ফেলছে। amarbangla.tv
লকডাউন করা একটি ওয়ার্ডেই সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, সেখানকার কর্মহীন গরীব অসহায় মানুষের মাঝে কোন ধরণের খাদ্য সহায়তা ও স্বাস্থ্য সেবাসহ প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যার ফলে কর্মহীন মানুষ ক্ষুধার জ্বালা বিারণ করতে লকডাউন ভেঙে খাদ্যের সন্ধানে ছুটে বেড়াচ্ছে। লকডাউনকৃত এলাকায় গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা খোলা রেখে সরকার লকডাউনের যে সুফল পেতে চাচ্ছে সেটা তা কখনো সম্ভব নয়। অবিলম্বে লকডাউনকৃত এলাকার কর্মহীন গরিব অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানান। শেয়ার করুন।