আমার বাংলা TV: বৃষ্টিস্নাত সকালে ছায়ানট মিলনায়তনে লোকসমাগম ছিল ভালোই। শরতের শেষ বেলায় শরৎ উৎসবে মেতে উঠেছে সবাই।মেয়েদের সাদা শাড়িতে আকাশের নীল, শিল্পীদের গানে, নাচের ছন্দে শরৎ-বন্দনায় কেটে গেল কয়েক ঘণ্টা।শুক্রবার ছায়ানট রবীন্দ্রনাথের গানে গানে উদযাপন করল শরৎ ঋতুকে। ছায়ানট ভবনের প্রবেশপথ থেকে গান আর নাচের ছন্দে শিল্পীরা আমন্ত্রণ জানালেন শ্রোতা-দর্শকদের।
মিলনায়তনে আয়োজনের শুরুতেই একক কণ্ঠে নুসরাত জাহান সাথী গেয়ে শোনান ‘শুভ্র আসনে বিরাজ অরুণ ছটা মাঝে।’ এরপর বিক্রম দাস ‘আলোর অমল কমলখানি’ এবং মাকছুরা আখতার গেয়ে শোনালেন ‘আমার রাত পোহালো’ গান দুটি।ছায়ানটের বড়দের দলের শিল্পীদের কণ্ঠে এরপরই শোনা গেল ‘তোমার মোহন রূপে কে রয় ভুলে’ গানটি। এ গানের সঙ্গে ছিল নৃত্যের পরিবেশনাও। সম্মেলক গানের পর আবারও একক গানের পালা। দীপ্র নিশান্ত গেয়ে শোনান ‘শরৎ-আলোর কমলবনে’, অনিন্দিতা বৃষ্টি ‘আমারে ডাক দিল কে ভিতর পানে’ ও অভিজিৎ দাসের কণ্ঠে শোনা গেল ‘আজি শরৎ তপনে প্রভাত স্বপনে’ গানটি।
ছায়ানটের ছোটদের দল এরপর গেয়ে শোনায় ‘আজ প্রথম ফুলের পাব প্রসাদখানি’ গানটি। এরপর দীপ্তি তালুকদার ও তাহমিদ ওয়াসিফ ঋভু গান শোনান।ছায়ানটের বড়দের দলের গাওয়া ‘কোন খ্যাপা শ্রাবণ ছুটে এলো’ গানের সঙ্গে ছিল নৃত্যও। একক কণ্ঠে সেমন্তি মঞ্জরী ‘তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে’ ও চঞ্চল বড়াল ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে’ গেয়ে শোনান।ছায়ানটের বড় ও ছোটদের দল একসঙ্গে গেয়ে শোনায় ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’ গানটি। সঙ্গে ছিল নৃত্যও। সবশেষে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
আমার বাংলা নিউজ / ১৩ অক্টোবর/ ২০১৮